বাংলার কৃষকদের জন্য সেরার সেরা ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। আবার আবেদন শুরু হয়েছে ‘বাংলা শস্য বীমা’ প্রকল্পে। চলছে খরিফ এবং রবি সিজিনের ফসলের জন্য আবেদন। ফসলের ক্ষতি হলে খুব সহজেই কৃষকরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে যাবেন কৃষকরা। যদিও এর জন্য কিছু শর্তাবলী মাথায় রাখা জরুরি।
কী কী ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন?
রোপনে বিফল- খরা বা প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যদি কোনও এলাকার ধান 50% এর অধিক নষ্ট হয়ে যায়, ওই এলাকার সকল বিমাকৃত কৃষক বীমাকৃত আমানতের সর্বাধিক 25 শতাংশ ক্ষতিপূরণ পাবেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ- প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন অকাল বর্ষণ, শিলাবৃষ্টি, ভূমিধস, প্লাবন, জলজমার কারণে 50 শতাংশের অধিক জায়গায় ধানের ক্ষতি হলে অন্তর্বর্তীকালীন বীমা করা টাকার সর্বাধিক 50 শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।
শস্য বীমায় আবেদন করার জন্য দরকারি শর্ত
রেজিস্ট্রেশন জরুরি- ফসলের ইন্সুরেন্স করে রাখতে হবে আপনাদের প্রত্যেককেই। যাতে পরবর্তী সময়ে ফসলের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণের টাকা শীঘ্রই হাতে চলে আসে।
কোন কোন ফসলে বীমা হবে: ধান এবং ভুট্টা, এই দু’ টি ফসলের জন্য আবেদন চলছে।
খরচ কত: এই প্রকল্পে কৃষকদের বীমা করার খরচ দেবে সরকার। প্রিমিয়ামের সমস্ত টাকা বীমা কোম্পানিকে জমা করবে রাজ্যই।
সময়সীমা: ধান চাষের ক্ষেত্রে বীমা করার জন্য সময়সীমা 15ই সেপ্টেম্বর 2014 পর্যন্ত। ভুট্টার ক্ষেত্রে বীমা করার জন্য সময়সীমা 31শে আগস্ট 2024।
শস্য বীমা করার জন্য কী কী কাগজপত্র লাগবে?
1) পরিচয় প্রমাণের জন্য ভোটার কার্ড জরুরি।
2) ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা, তা বোঝানোর জন্য আধার কার্ড জরুরি।
3) অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে ব্যাঙ্কের পাসবুকটিও।
4) আপনার নিজস্ব জমি আছে, তা প্রমাণের জন্য জমির দলিল জরুরি।
5) নিজের নামে জমি না থাকলে, যে জমিতে চাষ করছেন, সেই জমির পরিমাপ সহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে পাওয়া শংসাপত্র।
6) ফসল রোপণ যে করেন তার সার্টিফিকেট জরুরি। এই সার্টিফিকেটটি সংশ্লিষ্ট ব্লকের কৃষি আধিকারিক দ্বারা অনুমোদিত রেভিনিউ অফিসার বা রেভিনিউ ইন্সপেক্টরের থেকে নিতে হবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার ও উদ্বাস্তু, ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতর কর্তৃক নিলেও ক্ষতি নেই।
আরো পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা এরা পাচ্ছে না, এবার কী তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে?
কীভাবে শস্য বীমা করতে পারবেন?
- রাজ্যের শস্য বীমা প্রকল্পে আপনি যদি বীমা করতে চান, তাহলে গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্যাম্প কবে হচ্ছে, সেই খোঁজ রাখুন।
- এছাড়াও নিজের গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে গিয়ে বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন।
- স্থানীয় এলাকার নিকটবর্তী কৃষি অফিসে গিয়েও আবেদন করা যেতে পারে।