বিনামূল্যে IPL দেখিয়েও লাভের ঝুড়ি উপচে পড়ছে মুকেশ আম্বানির। ক্রিকেটপ্রেমীরা মনের আনন্দে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, জস বাটলার, রিয়ান পরাগদের ছক্কা হাঁকানো দেখছেন। এর জন্য এখন টিভির সামনে বসতেই হবে তার কোনও মানে নেই।
হাতে স্মার্টফোন থাকলেই বিনা খরচে Jio Cinema-তে দেখা যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিনই কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমী জিও সিনেমা অ্যাপের মাধ্যমে আইপিএল-এর খেলা দেখছেন। আর ঠিক এই সুযোগটাকেই চতুর ব্যবসায়িক বুদ্ধি খাটিয়ে কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যেই ৪,০০০ কোটি মুকেশ আম্বানি বা জিও আয় করেছে বলে একটি মার্কেট রিসার্চ সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে।
অনেকেই হয়ত মনে রেখেছেন, আবার কেউ কেউ নাও জেনে থাকতে পারেন কিন্তু ঘটনা হল আইপিএল দেখার জন্য জিও সিনেমায় টাকা দিয়ে কোনও সাবস্ক্রিপশন করতে হচ্ছে না। অথচ রেকর্ড ২৩,৭৫৮ কোটি টাকা দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের ডিজিটাল রাইটস কিনে নিয়েছে মুকেশ আম্বানির সংস্থা। যার অর্থ প্রতি বছর আইপিএল দেখানোর জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে মুকেশ আম্বানির সংস্থা দেবে ৪,৭৫০ কোটি টাকা।
আরো পড়ুনঃ EPF নিয়ে সরকারের নতুন পরিকল্পনা, এবার আরো বেশি কর্মচারী সুবিধা পাবে
এত বিপুল অর্থ খরচ করে আইপিএলের ডিজিটাল সম্প্রচারের স্বত্ত্ব কিনলেও গ্রাহকদের থেকে জিও সিনেমা সাবস্ক্রিবেশন বাবদ একটিও পয়সা নিচ্ছে না। সকলের জন্য ফ্রি করে দিয়েছে রিলায়েন্স বা মুকেশ আম্বানি। আর ঠিক এখানেই ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তীক্ষ্ণ ব্যবসায়িক কৌশলের বাজিমাত দেখছেন অভিজ্ঞরা।
কারণ জিও সিনেমায় টাকা দিয়ে সাবস্ক্রিপশন করতে না হওয়ায় ভিউয়ারের সংখ্যা বিপুল থাকছে। বহু সময় টেলিভিশনকে টেক্কা দিয়ে জিও সিনেমায় সংখ্যায় বেশি মানুষ আইপিএলের ম্যাচ দেখছেন। এই বিষয়টাই বিজ্ঞাপনদাতা এবং দেশের নামিদামি ব্রান্ডগুলোকে জিও সিনেমায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে আকৃষ্ট করছে। এর ফলে আইপিএল ম্যাচ চলাকালীন বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখিয়ে মোটা টাকা আয় করছেন মুকেশ আম্বানি।
সূত্রের খবর আইপিএল মাঝপথে থাকলেও এরই মধ্যেই বিজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করে ফেলেছেন মুকেশ আম্বানির সংস্থা। কমবেশি প্রায় আড়াইশো-টি ভারতীয় ও বিদেশী ব্র্যান্ড আইপিএল চলাকালীন বিজ্ঞাপন দিচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ লাইসেন্স ছাড়াই এই গাড়িগুলো চালাতে পারবেন! ২ চাকা, এমনকি ৪ চাকাও
তাছাড়াও আরও প্রায় ১৮ টি নামি ব্র্যান্ড স্পন্সর হিসেবে যুক্ত আছে। সবমিলিয়ে আইপিএল যত এগোবে ততই জিও’র ভাঁড়ার আরও বেশি পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাছাড়া আরও একটি উপায়ে লাভ করে থাকেন মুকেশ আম্বানি। জিও সিনেমায় আইপিএল দেখার জন্য এই সময়ে গ্রাহকরা বেশি করে স্মার্টফোনে নেট প্যাক রিচার্জ করছেন। এইভাবে ঘুরপথেও আয় বাড়ছে আম্বানির।